বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার গারুড়িয়া ইউনিয়নের মেম্বর ধর্ষণের বিচারের আশ্বাস দিয়ে ধর্ষণ করলেন মেম্বার নিজে।
গারুড়িয়ায় ধর্ষণের বিচারের আশ্বাস দিয়ে ধর্ষণ করলেন মেম্বার
গারুড়িয়া প্রতিনিধিঃ গারুড়িয়া ইউনিয়নের সাহেবপুর গ্রামে ধর্ষণের সালিশির কথা বলে আবারো ওই নির্যাতিতা গৃহবধূকে এক মেম্বার ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ধর্ষণের পর বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি না করার জন্য ভুক্তভোগীকে বিভিন্নভাবে হুমকিও দিচ্ছে ৯নং ওয়ার্ডের মেম্বার এবং দুই সন্তানের জনক বাবুল খান।
নির্যাতিতা দুই ছেলে শিশু সন্তানকে নিয়ে বসবাস করেন। তার স্বামী ঢাকায় থাকে। একই রাতে মেম্বারের পূর্বে সাহেবপুর গ্রামের মুদি ব্যবসায়ী আলাউদ্দিন মিরা জোরপূর্বক ওই গৃহবধূকে ধর্ষণ করে। আলাউদ্দিন ওই গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে এবং তিন সন্তানের জনক।
ভুক্তভোগী ওই গৃহবধূ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আলাউদ্দিন তাকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিলো। সবশেষ মঙ্গলবার রাতে পাশের ঘরে টিভি দেখে নিজের ঘরে এসে ঘুমিয়ে পড়েন। গভীর রাতে আলাউদ্দিন জোরপূর্বক তাকে ধর্ষণ করে।
নির্যাতিতার ধারণা টিভি দেখতে যাওয়ার সময় ঘরের দরজা খোলা ছিলো। ওই সময় আলাউদ্দিন তার ঘরে ঢুকে লুকিয়ে ছিলেন। টিভি দেখে ঘুমানোর পর রাতে আলাউদ্দিন জোরপূর্বক তাকে ধর্ষণ করে। পরে চিৎকার করলে এলাকাবাসী জড়ো হয়। এর পূর্বে সটকে পড়ে আলাউদ্দিন।
এ সময় নির্যাতিতার পাশের বাড়িতে থাকা মেম্বার বাবুল খানও সেখানে আসে। কিন্তু তিনি নির্যাতিতার কথা বিশ্বাস করেন না। এজন্য সকলের সামনে নির্যাতিতাকে হেনস্তা করে। এক পর্যায়ে সবাই চলে গেলে নির্যাতিতার ঘরে বসে বিচারের আশ্বাস দেয় মেম্বার বাবুল।
আশ্বাস দিয়ে নির্যাতিতাকে মেম্বারও জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরে রাত ৩টায় নির্যাতিতার ঘর থেকে বের হয়ে যায় বাবুল। বের হওয়ার পূর্বে নির্যাতিতাকে বিষয়টি কাউকে না বলার জন্য হুমকিও দেন তিনি।
গৃহবধূ আরো বলেন, ঘটনার রাতে তার স্বামী ঢাকায় ছিলেন। ঘটনা শোনার পর তিনি বাড়িতে আসেন। কিন্তু বাবুলের হুমকির কারণে তারা মামলা দায়ের করতে সাহস পাচ্ছে না। মেম্বারের ভয়ে নির্যাতিতা তার বাড়ি ছেড়ে এক আত্মীয়ের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন।
ধর্ষণের বিষয়টি অস্বীকার করে মেম্বার বাবুল খান বলেন, ওই মহিলা খারাপ প্রকৃতির। আলাউদ্দিনের সাথে তার অবৈধ সম্পর্ক ছিলো। এলাকাবাসী তাদের এক সাথে আটক করে। এ নিয়ে কোনো বিচার সালিশি হয়নি। আমার বিরুদ্ধে ওই মহিলা যা বলছে তা মিথ্যা।
বাকেরগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আকরাম হোসেন বলেন, এ ধরনের খবর আমার জানা নেই। তবে খোঁজ খবর নিয়ে ঘটনার সত্যতা মিললে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আমরা এই ঘটনার তিব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং অপরাধীকে আইনের আওতায় এনে কঠিন থেকে কঠিন তম বিচারের দাবি জানাচ্ছি।
Comments
Post a Comment